.png)
.png "hamas isreal conflict")
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে - “যেসব ফিলিস্তিনিদের ইসরায়েলে কাজ করার অনুমতি প্রত্যাহার করা হয়েছিল তাদের বন্দী শিবিরে রাখা হয়েছে বলে মনে করা হয়, তবে ইসরাইল এখনও পর্যন্ত তাদের সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করতে অস্বীকার করেছে। ”
অধিকৃত পশ্চিম তীরের বাইতা গ্রামে অনুসন্ধান অভিযানের সময় ইসরায়েলি সৈন্যরা এক ফিলিস্তিনি ব্যক্তিকে আটক করেছে।
গাজার হাজার হাজার শ্রমিক, যারা যুদ্ধ শুরু হওয়ার সময় ইসরায়েলে নিযুক্ত ছিল, গণগ্রেপ্তার অভিযানের মধ্যে তখন থেকে নিখোঁজ হয়েছে।
মানবাধিকার গোষ্ঠী এবং ট্রেড ইউনিয়নগুলি বিশ্বাস করে যে ইসরায়েলে কাজ করার অনুমতি প্রত্যাহার করার পরে, কিছু শ্রমিককে অধিকৃত পশ্চিম তীরে সামরিক স্থাপনায় অবৈধভাবে আটক করা হয়েছে। ইসরায়েলের কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত যাদেরকে আটকে রেখেছে তাদের নাম প্রকাশ করতে অস্বীকার করেছে।
যখন ফিলিস্তিনি স্বাধীনাতাকামী দল, হামাস, 7 অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণে একটি নজিরবিহীন আক্রমণ শুরু করে, তখন গাজার প্রায় 18,500 বাসিন্দা অবরুদ্ধ স্ট্রিপের বাইরে কাজ করার অনুমতি নিয়েছিলেন।
ওয়ালিদ [ছদ্ধনাম], গাজায় জন্মগ্রহণকারী একজন ফিলিস্তিনি শ্রমিক, 25 বছরেরও বেশি সময় ধরে অধিকৃত পশ্চিম তীরে বসবাস করেছিলেন যখন ইসরায়েল গাজায় তার নিরলস বোমাবর্ষণ শুরু করেছিল যা এ পর্যন্ত 7,000 এরও বেশি লোককে হত্যা করেছে এবং তিন সপ্তাহ ধরে চলেছিল। 8 অক্টোবর, তাকে গ্রেফতার করা হয় যখন সে কাজের উদ্দেশ্যে রওনা হয় এবং ইসরায়েল অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে বাজেয়াপ্ত করা ফিলিস্তিনি শহর আনাতার ধ্বংসাবশেষের উপর নির্মিত অ্যালমোন এলাকার একটি সুবিধায় আটক করা হয়, যা আনাটোট নামেও পরিচিত।
ওয়ালিদের সাক্ষ্য অনুসারে, একটি বন্দী শিবিরের একজন কর্মকর্তা বন্দীদের বলেছিলেন যতক্ষণ গাজায় ইসরায়েলি জিম্মি থাকবে ততক্ষণ তাদের মুক্তি পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে শত শত কর্মীকে নির্বিচারে আটকে রাখার জন্য ইসরায়েলি সরকার পুনর্নির্মাণকারীদের মধ্যে এই সুবিধাটি অন্যতম।
'কোথায়, কতজন, কী আইনি মর্যাদায়' স্পষ্ট নয়
হ্যামোকেডের নির্বাহী পরিচালক জেসিকা মন্টেল আল জাজিরাকে বলেছেন, “আমরা [৭ অক্টোবর] হামলার আগে ইসরায়েলে কর্মরত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে শত শত ফোন কল পাচ্ছি।
এখন পর্যন্ত, মন্টেল বলেছেন, নিখোঁজ ব্যক্তিদের 400 টিরও বেশি পরিবার এবং বন্ধুরা সংস্থার সাথে যোগাযোগ করেছে, তাদের প্রিয়জনকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে কারণ তারা একই সাথে ইসরায়েলের বোমা হামলা এবং "সম্পূর্ণ" অবরোধ থেকে বাঁচতে লড়াই করছে। গাজার বাসিন্দারা ক্রমশ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে গত সপ্তাহে এই কলগুলি হ্রাস পেয়েছে।
তার কাজের অংশ হিসাবে, হ্যামোকড নিয়মিতভাবে বন্দীদের নাম জমা দেয় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের কোথায় রাখা যেতে পারে তা খুঁজে বের করার জন্য।
মন্টেল বলেন, “ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের জানাতে হবে যে তারা কাকে আটকে রেখেছে, কোন স্থানে তাদের আটক করা হচ্ছে”। "তবে সেই সমস্ত গাজার জন্য, তারা আমাদের বলেছে [তারা] ঠিকানা দেওয়ার অধিকার [কর্তৃপক্ষ] নয়।"
"এটি এমন হতে পারে না যে তাদের কোথায় রাখা হচ্ছে, কতজনকে রাখা হচ্ছে, কোন শর্তে, কোন আইনি মর্যাদায় রাখা হচ্ছে তা স্পষ্ট নয়," তিনি যোগ করেছেন।
অধিকৃত পশ্চিম তীরে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে ইসরাইল
HaMoked সহ ছয়টি স্থানীয় সংস্থার একটি গ্রুপ ইসরায়েলের হাইকোর্টে বন্দীদের নাম ও অবস্থান প্রকাশ করার জন্য এবং মানবিক ধারণ পরিস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য আবেদন করেছে।
আবেদনকারীদের মতে, কিছু ফিলিস্তিনিকে আলমোন এলাকায় আটক করা হয়েছে - যেখানে ওয়ালিদকে আটক করা হয়েছিল - সেইসাথে রামাল্লার কাছে ওফারে এবং বিয়ার আল-সাবে (বিয়ের শেভা) কাছে সেদে তেমানে। দক্ষিণ নকাব বা নেগেভ মরুভূমি।
একবার শত্রুতা শুরু হলে এবং উত্তর গাজায় বেইট হ্যানউন ক্রসিং (ইসরায়েলিদের কাছে এরেজ নামে পরিচিত) বন্ধ হয়ে গেলে, শ্রমিকরা ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের মধ্যে আশ্রয় খোঁজার জন্য পশ্চিম তীরে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল।
কিন্তু অক্টোবর 10-এ, ইসরায়েলের গভর্নমেন্ট অ্যাক্টিভিটিস ইন দ্য টেরিটরির সমন্বয়কারী (COGAT) গাজার বাসিন্দাদের জন্য পূর্বে জারি করা সমস্ত ওয়ার্ক পারমিট প্রত্যাহার করে, তাৎক্ষণিকভাবে পারমিটধারীদেরকে "অবৈধ এলিয়েন"-এ পরিণত করে।
আল জাজিরা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সাথে যোগাযোগ করেছিল, সেইসাথে COGAT, যে সংস্থাটি দখলকৃত অঞ্চলগুলিতে পারমিট সিস্টেম নিয়ন্ত্রণ করে। উভয়ই মন্তব্য করতে বা আরও তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানায় যাদের পারমিট প্রত্যাহার করা হয়েছে, সেইসাথে কতজনকে কারাবন্দী করা হয়েছে এবং কী কারণে।
'অসামঞ্জস্য'
ফিলিস্তিনিদের আন্দোলনের স্বাধীনতার জন্য আহ্বানকারী ইসরায়েলি মানবাধিকার সংস্থা গিশার অ্যাডভোকেসি ডিরেক্টর মরিয়ম মারমুর বলেছেন, পরিস্থিতি "অসামঞ্জস্য"।
"অবশ্যই, যে কোনো সময়ে, হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে ইসরায়েলের প্রশাসনিক আটকে রাখা হয়েছে," তিনি আল জাজিরাকে বলেছেন। “কিন্তু এরাই প্রথম ফিলিস্তিনি যাকে গণসংযোগ করা হয়েছে। তাদের আটকের প্রকৃতি, জনগণের অনুমতি প্রত্যাহার এবং এই সত্য যে ইসরায়েল এখন পর্যন্ত তারা কোথায় রয়েছে সে সম্পর্কে কোনও তথ্য প্রকাশ করতে অস্বীকার করছে … এটি এমন কিছু নয় যা আমি আগে দেখিনি,” তিনি বলেছিলেন।
মারমুর যোগ করেছেন যে গ্রেপ্তারগুলি "অবৈধ এবং প্রতিশোধমূলক কাজ বলে মনে হচ্ছে যা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে"।
ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মতে, হামাস 7 অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা চালানোর সময় কমপক্ষে 224 জনকে জিম্মি করে। এরপর থেকে চারজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
"এটি একটি অফিসিয়াল বিবৃতি নয়, তবে অবশ্যই এটি একটি ইঙ্গিত যে, অন্তত এর সাথে জড়িত কিছু লোকের কাছে এই শ্রমিকদের দর কষাকষির চিপস হিসাবে ব্যবহার করার এক ধরণের ইচ্ছা আছে," মারমুর বলেছিলেন।
ইসরাইলের পারমিট সিস্টেমের অধীনে, গাজা স্ট্রিপ থেকে খুব কম ফিলিস্তিনি এলাকা ছেড়ে যেতে পারে, কারণ 2007 সালে হামাস ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে সমস্ত সীমান্ত ক্রসিং ইজরায়েল বা মিশরীয় নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
কাজ, স্বাস্থ্য এবং মানবিক কারণে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের সতর্কতার পরে পারমিট জারি করা যেতে পারে। গাজার বেশিরভাগ শ্রমিক - যেখানে সামগ্রিক বেকারত্বের হার 45 শতাংশ এবং যুব বেকারত্ব 70 শতাংশে বেড়েছে - ইস্রায়েলে ম্যানুয়াল চাকরি নেয়, যেখানে বেতন কয়েকগুণ বেশি।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের অধীনে নামমাত্র এলাকা সহ পশ্চিম তীরে অব্যাহত অভিযানের মধ্যে মানবাধিকার গ্রুপগুলি আরও গ্রেপ্তারের বিষয়ে উদ্বিগ্ন।
ইসরায়েলে আরব সংখ্যালঘু অধিকারের আইনি কেন্দ্র আদালাহ-এর পরিচালক হাসান জাবারিন বলেন, "আমাদের এমন পরিস্থিতি কখনও ছিল না, যেখানে লোকেরা আটকা পড়ে এবং বাড়িতে যেতে পারে না এবং তাদের এক ধরণের শিবিরে রাখা হয়।" “এরা কেবল শ্রমিক ছিল। একমাত্র তুলনা সম্ভবত [অনথিভুক্ত] উদ্বাস্তুদের সাথে।"
গণগ্রেফতার
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের শ্রমমন্ত্রী অনুমান করেছেন যে প্রায় 4,500 শ্রমিকের হিসাব নেই এবং ইসরায়েলি বাহিনী তাদের আটক করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইসরায়েলি মিডিয়া আউটলেট N12 জানিয়েছে যে গাজা থেকে 4,000 ফিলিস্তিনিকে তাদের সম্ভাব্য জড়িত থাকার বিষয়ে ইসরায়েলি হোল্ডিং সুবিধাগুলিতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ওয়ালিদ, যার আসল নাম এবং ব্যক্তিগত বিবরণ প্রতিশোধ এড়াতে গোপন রাখা হয়েছে, দেওয়া একটি লিখিত সাক্ষ্য অনুসারে, তাকে ছাদ ছাড়া, সূর্যের নীচে এবং খাবার, জল বা টয়লেটে প্রবেশ ছাড়াই একটি "খাঁচায়" রাখা হয়েছে বলে বর্ণনা করা হয়েছে। ইসরায়েল ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হ্যামোকেড এবং আল জাজিরা দেখেছে।
তারপর তাকে প্রায় 300 বর্গ মিটার এলাকায় স্থানান্তরিত করা হয় যেখানে শত শত শ্রমিক একটি রাসায়নিক টয়লেট কিউবিকেল ভাগ করে নেয়। তিনি রেড ক্রসের সাথে যোগাযোগ করতে বললে সৈন্যরা তাকে অভিশাপ দেয় এবং মারধর করে।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা নিশ্চিত হওয়ার পর ওয়ালিদকে ছেড়ে দেওয়া হয়, যদিও তার জন্ম গাজায়, তিনি পশ্চিম তীরের বাসিন্দা। 7 অক্টোবর থেকে গাজা কর্মীদের অসংলগ্ন এবং আইনি প্রতিনিধিত্ব ছাড়াই আটকে রাখা কেন্দ্রগুলি থেকে এখনও পর্যন্ত যে কয়েকটি অ্যাকাউন্ট বেরিয়ে এসেছে তার মধ্যে তার সাক্ষ্য রয়েছে।
.png){kind=link}
.png&description=মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে - “যেসব ফিলিস্তিনিদের ইসরায়েলে কাজ করার অনুমতি প্রত্যাহার করা হয়েছিল তাদের বন্দী শিবিরে রাখা হয়েছে বলে মনে কর...){kind=link}
No comments:
Post a Comment